রংপুরের উন্নয়নে ঝন্টুর মতো নেতার প্রয়োজন,বাংলার চোখ'র স্মরণসভায় বক্তারা
মো: রস্তম আলী: রংপুর জেলা প্রতিনিধি
আপোষহীন সংগ্রাম ও উন্নয়নের স্বার্থে প্রয়াত মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর মতো নেতার প্রয়োজন এখনও রয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন রংপুরের বিশিষ্টজনরা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা একথা বলেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রীড়া সংগঠন বাংলার চোখ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। ঘরে ঘরে ঝন্টুর মতো নেতার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেথ করে বিশিষ্টজনরা বলেন, মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু শুধু সফল ব্যক্তিই নন, তিনি উন্নয়নের আদর্শ। মৃত্যু তাকে কেড়ে নিলেও রংপুরের উন্নয়ন স্মৃতি তাঁকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে। তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সকল সেক্টরে সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। উপজেলা থেকে পৌরসভা, সংসদ, সিটি করপোরেশন সবখানেই তিনি সফল। সবশেষ প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় মেয়র হিসেবে রংপুরের উন্নয়নে তার বিশেষ অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সভায় বাংলার চোখ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তানবীর হোসেন আশরাফীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- প্রবীন রাজনীতিবিদ, সভাপতি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি রংপুর জেলা ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ আফজাল, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ বাবু, প্রবীন রাজনীতিবিদ ও কমিউনিষ্ট পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদৎ হোসেন, ওয়ার্কাস পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজর“ল ইসলাম হক্কানী, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ফখর“ল আনাম বেঞ্জু, সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, সাবেক জাপা নেতা আব্দুল লতিফ খাঁন, কালমাইকেল কলেজের সাবেক ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সাহেদ মন্টু, ব্যবসায়ী নেতা আলতাব হোসেন, রাজনীতিবিদ দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, বাবুখাঁ নজর“ল সঙ্গ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক রশিদুস সুলতান বাবলু, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্রী বাবলু নাগ, সাংবাদিক শাহ্ আলম, ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম ও মোটরসাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পাবেল চন্দ্র রায় প্রমুখ। এতে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। ছাত্র জীবন থেকে আপোষহীন রাজনীতি করেছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই নেতা রাজনৈতিক জীবনে বার বার জনগণের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছেন। তার নেতৃত্বে রংপুরের উন্নয়ন হয়েছে। অনেক আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। স্মরণ সভার শুরুতেই এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে মরহুমের র“হের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষরা অংশ নেন। উলেখ্য, ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।